রহমত নিউজ ডেস্ক 01 November, 2023 07:01 PM
গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেছেন, বিরোধী দলকে শেষ করতে এই গণবিরোধী সরকার প্রধান হুমকি-ধমকি দিয়ে তিনি যেন তেন ভাবে নির্বাচন করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার ষড়যন্ত্র করছেন। ২০১৪ ও ২০১৮ সনের মত জনগণ বিহীন নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছেন। শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থেকে ক্ষমতার লোভে তারা উন্মাদ হয়ে গেছে। দেশের ব্যাংকগুলো লুটপাট করে অর্থনীতি তলানিতে নিয়ে এসেছে, এখন সরকার নোট ছাপাচ্ছে, হাজার হাজার কোটি টাকার নোট ছাপিয়ে বাংলাদেশের মুদ্রাস্ফীতি বাড়িয়ে দিয়েছে। লুণ্ঠনকারী সরকার যখন জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়ায় তখন সেই সরকারের ভয়ংকর পতন অনিবার্য। মিথ্যা মামলা দিয়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিচ্ছে ভোটার বিহীন ও রাতের ভোটের সরকার প্রধান। অন্যায়ভাবে জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন এর পরিণতি হবে ভয়াবহ। জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করতে আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচিত করা হবে। জনগণের দাবি আদায়ে আমাদের অবরোধ চলবে। জনগণের বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হবে।
আজ (১ নভেম্বর) বুধবার বেলা ১১ টায় দেশে চলমান বিচারহীনতা, অপশাসন, সীমাহীন দুর্নীতি, অনাচার, অর্থ পাচার ও সিন্ডিকেটবাজীর ফলে দ্রব্যমূল্যের অব্যাহত ঊর্ধ্বগতিতে বিপর্যস্ত জনগণের জীবন জীবিকা রক্ষার স্বার্থে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আয়োজিত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশে হামলা, নেতাকর্মীদের হত্যা, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আন্দোলনরত বিভিন্ন দলের অসংখ্যা নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, বাড়ী বাড়ী তল্লাশী, হয়রানি ও নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং যুগপৎ ধারায় বৃহত্তর গণ-আন্দোলনের এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে দেশব্যাপী সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি সফল করতে গণফোরাম ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টি আরামবাগ থেকে শুরু করে মতিঝিল শাপলা চত্বর হয়ে গণফোরাম চত্বর পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারী বলেন, মানুষ হত্যা করে, হামলা করে, মামলা দিয়ে, নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে জনগণের আন্দোলন থামানো যাবে না। প্রতিটা আন্দোলন জনগণ সফল করছে কারণ জনগণ জানে এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে হেরে যাবে বাংলাদেশের মানুষ। ইনশাআল্লাহ জনগণ দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করবে।
গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট এ.কে.এম. জগলুল হায়দার আফ্রিক বলেন, কর্তৃত্ববাদী সরকার ৪০ লক্ষের বেশি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। গত কয়েকদিনের আন্দোলনে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার তীব্রতা বেড়েছে। এই মিথ্যা মামলার জবাব ফ্যাসিবাদী সরকারকে দিতে হবে। এই সরকারের ছত্রছায়ায় হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে, এখনো হচ্ছে। এই লুটপাটের বিচার জনতার আদালতে হবেই।
বাংলাদেশ পিপলস পার্টির মহাসচিব মোঃ আবদুল কাদের বলেন, ২৮ তারিখের মহাসমাবেশের দিন থেকে সরকারের প্রশাসন এবং দলীয় ক্যাডারদের হামলায় বহু বিরোধী দলের নেতা-কর্মী হতাহত হয়েছে। সরকার বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন বানচাল করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো ভোটার বিহীন নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে এই অনির্বাচিত সরকার তাই মির্জা ফখরুল ইসলাম, মির্জা আব্বাস, মোয়াজ্জেম হোসেন আলালদের মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। সরকার ভেবেছে বিরোধী দলকে নেতৃত্বশূণ্য করে দিয়ে নিজের মতো নির্বাচন করবে কিন্তু জনগণ তাদের এই খায়েশ মিটতে দেবে না। জনগণ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটাবে ইনশাআল্লাহ।
গণফোরাম তথ্য ও গণমাধ্যম সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ মধুর সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ পিপলস পার্টির কো-চেয়ারম্যান পারভীন নাসের খান ভাসানী, গণফোরাম সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব খান ফারুক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিবুর রহমান বুলু, সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম, ছাত্র সম্পাদক মোঃ সানজিদ রহমান শুভ, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এরশাদ জাহান সুমন, সদস্য কামাল উদ্দিন সুমন, মাহফুজুর রহমান মাসুম, নূর নবী, ফারুক হোসেন, ইমাম হোসেন, শেখ শহিদুল ইসলাম।বাংলাদেশ পিপলস পার্টির প্রেসিডিয়াম মেম্বার মোঃ আতিকুর রহমান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জসিম সরদার, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ লিটন জোয়ার্দার প্রমুখ।